Saturday, January 5, 2019

HISTRY OF SSMC-E&H PART-1


S.S.MEMORIAL MULTI-LABLE EDUCATION & HEALTH FOUNDATION এই প্রতিষ্ঠানের উদ্যাক্তা সৈয়দ সদরুল ইসলাম, পিতা মৃত সৈয়দ সাজাহান আলি।তিনি জন্ম গ্রহন করেন ০৮ই জানুয়ারি১৯৮২ সালে দক্ষিন২৪ পরগনা জেলার সিমলা নামক ছোট্ট একটি গ্রামে। আজ আমরা তার জীবনি জানবো তবে তার আগে এই প্রতিষ্ঠানের নাম করণ বিষয় জেনে নেবো।এই প্রতিষ্ঠানটির নাম করণ করা হয়েছে তার পিতা মৃত সৈয়দ সাজাহান আলির শ্মরণ সৃতি হিসাবে । কেনইবা তার পিতার নামে করা হল তার পিছনে বিশাল ঐতিহাসিক কাহিনি লুকায়িত রয়েছে।এবার দেখে নেওয়া যাক সেই ঐতিহাসিক কাহিনী— - সৈয়দ সাজাহান আলি জন্ম গ্রহন করেন ০২ই মার্চ ১৯৪৪ সালে দক্ষিন ২৪ পরগণার জেলার সিমলা নামক ছোট্ট একটি গ্রামে।পিতা নুরুল ইসলাম পেশায় দর্জি ,মাতা ইজ্জুতুন বিবি।পরিবারে মা বাবা ,এক ভাই ও তিন বোন। তিনি শিশু কাল থেকে শিক্ষা ও খেলাধূলায় মানুষের কাছে আকর্ষক হয়ে ওঠেন। কিন্তু হঠাৎ তার পিতা বড় রোগে আক্রান্ত হলে মাত্র ১১ বছর বয়সে পরিবারে সব ভার তার উপর আসে । -তিনি পরিবারের বোঝা মাথায় নিয়ে চলে যান মামার বাড়ির কাছে গুড়-পাটালি বিক্রেতার কাছে।সেখানে তিনি ভোরে উঠে খেজুরের রস সংগ্রহ,গুড় পাটালি তৈরি করা এবং সপ্তাহে একদিন হাটে বিক্রি করা ছিল তার কাজ ।এই কঠিন প্রতিকুল অবস্হায় ২০ কিমি পথ হেঁটে স্কুলে যেতেন পরনে কেবল মাত্র এক সেট স্কুল ইউনিফর্ম তাও তার স্কুল বন্ধু হাইদ্রার আলির দান করা ।স্কুল থেকে ফিরে গুড় পাটালি বিক্রেতার কাছে পড়ে থাকা অবশিষ্ট খাবার টুকু খেয়ে গুড় পাটালি তৈরির কাজ করতেন।কাজ শেষ হলে বন্ধুর কাছ থেকে আনা বই পড়তে থাকে খেজুর বাগানে ছোট্ট কুঠি ঘরে।পড়া শেষ হলে রাতে ঘণ্টা তিনেক ঘুম কারণ ভরে যে তাকে উঠতে হবে ! এক দিকে তার পরিবার ও অসুষ্থ বাবা এবং অন্য দিকে কর্মস্হল, এই রুপ প্রতিকূল পরিবেশের সঙ্গে যুদ্ধ করে পড়াশনা চালিয়ে যাওয়া বিশাল কঠিন জীবনযুদ্ধ,শুধু কি তাই প্রথম শ্রেণী থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত প্রথম স্হান অধিকার করা খুব সহজ কাজ বলে আমার তো মনে হয় না । -তিনি মাধ্যমিক পাশ করার পর সন্তসপুরে চলে আসার পর এক কাপড় ব্যবসাহির কাছে পরিচালনার দ্বায়িত্ব পায় এই ভাবে তার স্কুল জীবনের অবসান হয় এবং কর্ম জীবন শুরু হয়।তখন থেকে পরিবারে কিছুটা সুখের আলো উদিত হয়।পিতা সুস্হ হয়ে উঠতে থাকে । বোন গুলির ধীরে ধীরে বিবাহ হয়ে যায় ফলে মায়ের উপর সংসারের সম্পূর্ণ ভার পরায় মা ছেলেকে বিবাহ করার পরামর্শ দেয় এবং অবশেষে বিবাহ হয়ে যায়।

No comments:

Post a Comment